Horizontal Pos

Auto Featured Post

This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৪

অ্যান্ড্রয়েড ললিপপ (কিটক্যাট অ্যান্ড্রয়েড এর আপডেট ভার্শন অ্যান্ড্রয়েড ললিপপ ৫.০)

কিটক্যাটের পর এল ললিপপ। গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের কথাই বলা হচ্ছে। গতকাল বুধবার অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের নতুন সংস্করণের ঘোষণা দিয়েছে গুগল। অ্যান্ড্রয়েড ৫.০ বা ললিপপ নামের এ সফটওয়্যারটি নেক্সাস ৬ স্মার্টফোন ও নেক্সাস ৯ ট্যাবলেট কম্পিউটার সমর্থন করবে। এক খবরে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
গুগলের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং অ্যান্ড্রয়েড বিভাগের প্রধান সুন্দর পিশাই অ্যান্ড্রয়েড ললিপপ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ললিপপ বা অ্যান্ড্রয়েড ৫.০ অপারেটিং সিস্টেম সব ডিভাইসে ব্যবহারের উপযোগী এবং ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনীয় কাস্টোমাইজ সুবিধা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।’
গুগল কর্তৃপক্ষ জানায়, ললিপপের সুবিধা হচ্ছে যেকোনো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস থেকে গান, ছবি, অ্যাপ বা সাম্প্রতিক সার্চ করা বিষয়গুলো তৎক্ষণাৎ অন্যান্য অ্যান্ড্রয়েডচালিত ডিভাইসেও উপভোগ করা যাবে।
কী আছে নতুন অ্যান্ড্রয়েডে?
বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, ললিপপ সফটওয়্যার প্রাথমিক অবস্থায় নেক্সাস ৫ ও নেক্সাস ৭ ডিভাইসে ইনস্টল করা যাবে।
নেক্সাস ৬ স্মার্টফোনের ঘোষণা দিয়েছে গুগল
বাজার গবেষকেরা মনে করছেন, অ্যান্ড্রয়েড ললিপপনির্ভর স্মার্টফোন ও ট্যাব দুটি সম্প্রতি অ্যাপলের বাজারে আনা বড় মাপের আইফোনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম হবে।
গুগল ব্র্যান্ডের মধ্যে নেক্সাস ৬ স্মার্টফোনই হবে সবচেয়ে বড় মাপের স্মার্টফোন। এটি তৈরি করবে মটোরোলা। ২০১২ সালে মটোরোলা মবিলিটি কিনেছিল গুগল এবং বর্তমানে চীনের প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান লেনোভোর কাছে মটোরোলা বিক্রি করে দিচ্ছে।
অ্যালুমিনিয়াম কাঠামোর নেক্সাস ৬ স্মার্টফোনে থাকবে উচ্চ রেজুলেশনের ৬ ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লে ও ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। গুগলের দাবি, এই স্মার্টফোনে থাকা বিশেষ স্টেরিও স্পিকার ভালো মানের সাউন্ড দিতে পারে যা মুভি দেখা বা গেম খেলার জন্য দারুণ উপযোগী। স্মার্টফোনটিতে থাকছে টার্বো চার্জার, যাতে ১৫ মিনিট চার্জ দিলে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত চার্জ থাকবে।
এসেছে এইচটিসির নেক্সাস ৯ ট্যাব
নেক্সাস ৯ ট্যাব তৈরি করেছে তাইওয়ানের প্রতিষ্ঠান এইচটিসি। ৮.৯ ইঞ্চি মাপের এই ট্যাব সম্পর্কে গুগল জানিয়েছে, এটি সহজে হাতে ধরা যায় কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত।
এখনো স্মার্টফোন ও ট্যাবের দাম প্রকাশ করেনি গুগল, তবে এ মাসের শেষ নাগাদ তা প্রি-অর্ডার নিতে শুরু করার কথা জানিয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, নতুন ডিজাইন ও ফিচারের ললিপপ সফটওয়্যারটি উন্মুক্ত করা মানে একধাপ এগিয়ে যাওয়া।বাজার গবেষণাপ্রতিষ্ঠান আইডিসির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেমের বাজারে ৮৪.৭ শতাংশ অ্যান্ড্রয়েডের দখলে।
গুগলের প্রকৌশলী হিরোশি লকহেইমার জানিয়েছেন, তাঁর দলের লক্ষ্য ছিল ব্যবসাক্ষেত্রে অ্যান্ড্রয়েডকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা। ব্যক্তিগত কাজের পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েডচালিত একই ডিভাইস যাতে ব্যবসার কাজেও ব্যবহার করা যায়, সে লক্ষ্য নিয়েই তৈরি হয়েছে ললিপপ।

বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

অন্যের কম্পিউটার থেকে ফেসবুক লগ আউট করতে ভুলে গেলে কি করবেন!

এই পোস্ট টা ফেসবুক এর সিকিউরিটি নিয়ে ।
যারা বিষয়টি জানেন না , তাদের এটা জানা একান্ত জরুরি ।
কোন কোন সময় এমন হয় যে, কোন সাইবার ক্যাফের কম্পিউটার বা অন্য কার কম্পিউটারে ফেসবুক লগইন করেছেন কিন্তু আসার সময় বিদ্যুৎ চলে গেছে বা আপনি লগ আউট করতে ভুলে গেছেন বা কারো মোবাইল থেকে ফেসবুক লগইন করেছেন লগ আউট করতে ভুলে গেছেন। এটা একটি বিশাল বিপদ। এখন যে কেউ ওই কম্পিউটার বা মোবাইল দিয়ে আপনার ফেসবুক আক্সেস করতে পারবে । এখন আপনি কি করবেন?
আবার ওই কম্পিউটার বা মোবাইল এ গিয়ে লগ আউট করে আসবেন !! নাহ, ফেসবুক সিকিউরিটি এর দউলতে এটা আপনাকে করতে হবে না । আপনি আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল থেকেই ঐ কম্পিউটার বা মোবাইল এর ফেসবুক লগ আউট করতে পারবেন।
এজন্য যা করতে হবে দেখে নিন ……
১. প্রথমে আপানার PC বা MOBILE থেকে ফেসবুক এ লগইন করুন।
২. এবার Account Setting এ যান।
৩. তারপর Security অপশনে Active Sessions এ ক্লিক করুন
৪. এখন Current Session   এ আপনার চলতি PC এর তথ্য দেখাবে আর Also Active এ শিরোনামে লগইন সক্রিয় আছে এমন কম্পিউটারের সময়, ডিভাইসের নাম, কোন শহর, আইপি কত, কোন ব্রাউজার, কোন অপারেটিং সিস্টেম তা দেখাবে।
৫. এবার ঐ আগের কম্পিউটার লগ আউট করতে End Activity ক্লিক করুন তাহলেই Computer থেকে লগ আউট হয়ে যাবে।
বিঃদ্রঃ অন্যের মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে ফেসবুক এ লগইন করার সময় কখনই “Keep me login” এ ক্লিক করবেন না । আর , পাসওয়ার্ড ও সেভ করবেন না ।
আশা করি উপকারে আসবে ।
কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন ।

Skype ব্যবহারকারী গণ একটু সাবধান হোন।

আসসালামুয়াইলাকুম।

আমরা মোটামোটি সবাই (যার নেট ব্যবহার করি) বিভিন্ন প্রয়োজনে ও আত্নীয় স্বজনদের সাথে যোগাযোগ রাখতে Skype নামের সফটওয়ার টি ব্যবহার করে থাকি। আমি মোটামোটি নিয়মিত ব্যবহার করি। কিন্তু তথ্য ও প্রযুক্তির সাথে সাথে ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার তার সাথে সাইবার ক্রাইম জিনিস টাও বেড়েই চলছে। আর এবার সাইবার ক্রাইমের সাথে জড়িতরা বেছে নিয়েছে Skype কে।
গত দুই দিন ধরে আমার Skype আকাউন্টে নতুন নতুন রিকোয়েস্ট আসলতে লাগল, সব বিদেশি নাম ধারী। তারা নিজে থেকেই চ্যাট করতে থাকে। চ্যাটের কিছুক্ষনের মধ্যে আমাকে কিছু লিংক দিচ্ছিল যেখানে Sign Up করতে হবে। আর বারবার বলছিল তোমার বয়স ভেরিফাই করার জন্য তোমার Credit card, Debit card, Atm card ইত্যাদির তথ্য দিতে হবে এর জন্য কোন চার্জ করা হবে না শুধু তোমার বয়স, আর লোকেশন যাচাই করা হবে।
এখন কথা হচ্ছে অনেকেই এই সব এডাল্ট কন্টেন্ডের কথা শুনে প্রলুব্ধ হয়ে পড়েন। তাই যদি কার কাছে এই ধরেনে কন্টাক থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসে তাহলে যতদুর সম্ভব বিরত থাকবেন।
আরেকটা কথা বলে নেয়া ভাল খেয়াল করলে দেখবেন তাদের প্রোফাইলে কোন ছবি বা তেমন কোন ইনফরমেশন নেই। আর আমি যতটুকু বুঝতে পেরেছি তারা বিদেশি নয় আমাদের দেশের কিছু কু-চক্রি। কারন, যদি তাদের টাইম যোন যদি দেখতে পান সেখানে খেয়াল করবেন দেশ লেখা USA, UK আরে টাইম দেখাচ্ছে আমাদের দেশের।
আমার ইচ্ছে ছিল যেসব লিংক আমাকে দিয়েছিল তার কয়েটা দিতে কিন্তু এডাল্ট কন্টেন্ট হওয়ায় দিলাম না।
আজ  এই সচেতনতার কথা আপনাদের মাঝে ছড়িয়ে দিলাম। আপনারাও আপনাদের পরিচিতজনদের ক্ষতি হাত থেকে বাঁচাতে সচেতন করে তুলুন। শুধুমাত্র Skype নয় সকল ধরনের যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন সাইটে বিনা কারনে ও না বুঝে কেউ যেন তাদের ব্যাক্তিগত ও বিভিন্ন কার্ডের কোন তথ্য যাতে না দেয়।
সবাই ভাল থাকবেন ভাল রাখবেন।
আল্লাহ হাফেজ।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে আয় করার সেরা পথগুলোর মধ্যে একটি সেরা পথ তুলে ধরলাম নতুনদের জন্য

ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনেক ভাবে অর্থ উপার্জণ করা যায়। কেউ অন্য কাজের পাশাপাশি ইন্টারনেট থেকে অতিরিক্ত আয় করেন, কেউ একেই পেশা হিসেবে ব্যবহার করেন এবং অন্য পেশার থেকেও বেশি আয় করেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন থাকতে পারে আয়ের বিভিন্ন পথের মধ্যে কোনটি বেশি গ্রহণযোগ্য কিংবা লাভজনক।
ইন্টারনেট ব্যবহার করে আয় করার জন্য গুগল এডসেন্স অত্যন্ত কার্যকর একটি পদ্ধতি। আপনি নিশ্চয়ই জানেন সার্চ ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে গুগলের তুলনা নেই। ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন থেকে আয় করে তারা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিস্ঠান। ইন্টারনেট বিজ্ঞাপনের একটি অংশ এডসেন্স। গুগল এডসেন্স নিয়ে ইতিপূর্বে অনেক লেখা ইতিমধ্য আছে. আমি আমার মত করে লিখলাম যাতে নতুনদের কাজে লাগে। যারা এডসেন্স ব্যবহার করেন তারা অনেকেই হয়তো ব্যাপারটা জানেন। তবুও শেয়ার করছি নতুনদের জন্য।
প্রথমেই প্রশ্ন করা স্বাভাবিক, এডসেন্স কি ? এককথায় এডসেন্স হচ্ছে ওয়েব সাইটে বিজ্ঞাপন রাখার জন্য গুগলের একটি পদ্ধতি। আপনি বিভিন্ন ওয়েব সাইটে নিশ্চয়ই বিভিন্ন লিংক দেখেছেন যার পাশে Ads by Google লেখা। এগুলিই এডসেন্স বিজ্ঞাপন। আপনার ওয়েব সাইটে এই বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্য এডসেন্স এর রেজিষ্ট্রেশন করাই যথেষ্ট। এরপর ওয়েব পেজে কোন ভিজিটর যখন কোন লিংকে ক্লিক করবেন তখন সেই সাইটের মালিক হিসেবে আপনি টাকা পাবেন। প্রতি ক্লিকের জন্য কয়েক সেন্ট থেকে শুরু করে কয়েক ডলার পর্যন্ত। মাসে আয় হতে পারে কয়েকশ ডলার থেকে কয়েক হাজার ডলার। ফল পাওয়া যায় সাথে সাথে।
এডসেন্স কিভাবে কাজ করে জানার জন্য আরো কিছু বিষয়ে ধারনা থাকা প্রয়োজন। যেমন গুগল এডওয়ার্ডস। কোন কোম্পানী বা ব্যক্তি যদি গুগলকে ব্যবহার করে ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন দিতে চান তাহলে তাকে বলতে হয়, আমি অমুক বিজ্ঞাপন অতদিনের জন্য দিতে চাই, প্রতি ক্লিকের জন্য অত পরিমান টাকা দেব। তাদের সাথে গুগলের চুক্তি এটুকুই। এটাই এডওয়ার্ডস।
ধরুন কোন কোম্পানী তার পন্যের বিজ্ঞাপনের জন্য গুগলের সাথে যোগাযোগ করল মাসে ১০ হাজার ডলারের। প্রতি ক্লিকে তারা ১ ডলারের বেশি দেবে না। গুগল তাদের বিজ্ঞাপনকে বিভিন্ন ওয়েব সাইটে পাঠিয়ে দেয়। আপনি এডসেন্সের সদস্য হলে আপনার ওয়েব সাইটেও সেটা পেতে পারেন। কেউ সেই লিংকে ক্লিক করলে আপনার একাউন্টে ১ ডলার হিসেব জমা হবে। আপনি যে কোন সময় আপনার হিসেব জানার সুযোগ পাবেন। মাসে একবার যদি বিল করতে চান তাহলে বিল করলে আপনার ঠিকানায় চেক পাঠাবে গুগল।
এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে, যে কোম্পানীর এডসেন্স বিজ্ঞাপন সে জানে না তার বিজ্ঞাপন কোথায় দেখা যাবে। আপনিও কখনো নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ পাবেন না ঠিক কোন বিজ্ঞাপন আপনার সাইটে পাবেন। যেহেতু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের জন্য মুল্য বিভিন্ন রকম, আপনার ওয়েব সাইটে প্রতি ক্লিকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন অর্থ পেতে পারেন। আপনার রিপোর্ট দেখে জানতে পারেন কোন ক্লিকের জন্য কত জমা হয়েছে। অভিজ্ঞতা বাড়লে কম টাকার ক্লিকের থেকে বেশি টাকার ক্লিকের বিজ্ঞাপনে বাছাইএর ব্যবস্থা করা যায়। তবে আগেই জানিয়ে রাখা ভাল, প্রতি ক্লিকে বেশি টাকা হলেই আপনি বেশি টাকা পাবেন এমন নিশ্চয়তা নেই। ভিজিটর যদি বেশি টাকার বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার চেয়ে কম টাকার লিংকে নিয়মিত ক্লিক করে তাহলে আপনার আয়ের সম্ভাবনা বেশি। মুল বিষয় হচ্ছে আপনার ওয়েব সাইটে ভিজিটর যত বেশি, ক্লিক করার সম্ভাবনা তত বেশি এবং আয় তত বেশি।
কাজটি কিভাবে করা সম্ভব দেখা যাক। আপনার একটি ওয়েব সাইট থাকতে হবে। এখনও যদি না থাকে তাহলেও এই মুহুর্তেই সেটা শুরু করতে পারেন।
১. Blogger.com সাইটে গিয়ে একটি ব্লগ তৈরী করুন। কয়েকটি ক্লিক করাই যথেষ্ট। এজন্য আপনার একটি ইমেইল এড্রেস প্রয়োজন হবে।
২. পছন্দমত টেম্পলেট বাছাই করুন। বিভিন্ন ওয়েব সাইটে নানা ধরনের ব্লগার টেম্পলেট পাওয়া যায়। পছন্দমত কোন একটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন। শুরুতেইকরতে হবে এমন কথা নেই, যে কোন সময় টেম্পলেট পরিবর্তন করে ওয়েব সাইটের সৌন্দর্য বাড়ানো যাবে।
৩. ব্লগ টিউন লিখতে শুরু করুন। কি নিয়ে লিখবেন ? আপনার যা ইচ্ছে। যদি গেমখেলতে ভালবাসেন গেমের রিভিউ লিখুন, মুভি দেখলে মুভির রিভিউ-খবর ইত্যাদি লিখুন। চারিদিকে লেখার মত বিষয়ের অভাব নেই।
৪. এডসেন্স একাউন্ট খুলুন। ব্লগার সাইটে এজন্য লিংক পাবেন। এখানে আপনার সাইটের ঠিকানা এবং পরিচিতি, আপনার ঠিকানা এসব তথ্য দিয়ে ফরম পুরন করতে হবে। এই ঠিকানায় আপনার নামে চেক পাঠানো হবে। আপনার সাইটে কোথায়, কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখা যাবে সেটা সিলেক্ট করলে তারাই বলে দেবে কিভাবে সেটা করতে হবে।
৫. বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে আপনার ব্লগের পরিচিতি লিখে দিন। ফলে সার্চ করে আপনার ব্লগ পাওয়া যাবে। বিভিন্ন ওয়েব সাইটে, সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে প্রচার বাড়ান।
অল্প কথায় কাজ এই টুকুই। এরপর একটু একটু করে আরো জানতে চেষ্টা করুন কিভাবে সাইটকে আরো উন্নত করা যায়, কিভাবে ভিজিটর বাড়ানো যায়, বিজ্ঞাপন কিভাবে রাখলে বেশি আয় করা যায়।
এখানে কিছু সাধারন তথ্য উল্লেখ করা হচ্ছে:
১. ক্লিক করলেই আয় হয় একথা ভেবে নিজেই বারবার ক্লিক করবেন না। গুগল খুব সহজেই আপনার ক্লিক এবং ভিজিটরের ক্লিক চিনতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার এডসেন্স রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করা হবে।
২. বেশি ভিজিটর পাওয়ার সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি ভাল ওয়েবসাইট তৈরী। অন্যভাবে, ভিজিটরের আগ্রহ থাকে এমন বিষয় রাখা। ভুলে যাবেন না গুগল মুলত সার্চ ইঞ্জিন। কোন ওয়েব সাইট সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ বেশি, কোথায় কত ভিজিটর যায়, কতক্ষন থাকে, কি করে এসব তথ্য তাদের চেয়ে ভাল অন্য কেউ জানে না। তাদের ঠকাতে চেষ্টা করবেন না। সাইটের প্রচার এবং মুল সাইটের বিষয়ের মধ্যে গড়মিল করবেন না।
৩. আপনার সাইটে বিজ্ঞাপন পাবেন সাইটের বিষয়ের সাথে মিল রেখে। যেমন বইয়ের সাইট হলে বিভিন্ন প্রকাশক, বই বা বিক্রেতার বিজ্ঞাপন, ফটোগ্রাফি সাইট হলে ক্যামেরা, নির্মাতা বা বিক্রেতার বিজ্ঞাপন ইত্যাদি। এডসেন্সে সাধারনভাবে মানুষের আগ্রহ রয়েছে এমন কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং আপনার সাইটেও সে সম্পর্কিত তথ্য রাখুন।
৪. বিনে টাকায় শুরু করার জন্য গুগলের ব্লগার অবশ্যই ভাল যায়গা। আপনার কোন খরচই নেই। তাহলেও দীর্ঘ্যস্থায়ী সাইটের জন্য নিজস্ব ডোমেইন নেম, নিজস্ব হোষ্ট থাকাই ভাল। সেক্ষেত্রে ব্লগার ছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতেপারে। ব্লগার সহজ, কিন্তু ব্লগারের তুলনায় এগুলিতে কাষ্টমাইজ করার সুবিধে অনেকবেশি।
জানার জন্য এটুকু উল্লেখ করা যায়, ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগ তৈরী করতে খরচ নেই কিন্তু সেখানে গুগলের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা যায় না। আর জুমলায় ফ্রি হোষ্টিং এর ব্যবস্থা নেই। ব্লাগার ছাড়াও আরো কিছু সাইট ফ্রি হোষ্টিং এর সুবিধে দেয়। এদেরমধ্যে Tumblr এরই মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
৫. সাধারনত বিজ্ঞাপন দেয়া হয় বিক্রির জন্য (পন্য অথবা সেবা)। ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে অনলাইন লেনদেন এর সম্ভাবনা বেশি। অথচ বাংলাদেশে অনলাইনে কেনা কাটার ব্যবস্থা নেই। অন্যভাবে বললে, বাংলাদেশ থেকে কেউ কিছু কেনার জন্য সাধারনত বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে না। কাজেই বাংলায় ওয়েবসাইট তৈরী করলে এমনিতেই ক্লিকের সম্ভাবনা কমে যায়। যদি সম্ভব হয় সারা বিশ্বের জন্য ইংরেজিতেওয়েবসাইট তৈরী করুন।
নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, নিজের খরচ চলার মত আয় পেতে কতটা সময় লাগতেপারে ?
খুবই গুরুত্বপুর্ন প্রশ্ন। এতে এমন জাদুকরী কিছু নেই যে রাতারাতি আপনি হাজার ডলার আয় করবেন। হাজার ডলার আয়ের জন্য অন্তত দুই তিন বছর ক্রমাগত চেষ্টা করে ওয়েব সাইট উন্নত করার চেষ্টা করতে হতে পারে। এটুকু বলা যায়, এক সময় ফল পাওয়া যাবেই। কাজেই দেরী না করে শুরু করাই উত্তম। এখনও যাকিছু শিখতে বাকি আছে সেগুলি ক্রমে শিখে নেয়া যাবে। উন্নত মানের ওয়েব সাইট তৈরী, ওয়েব সাইটের প্রচার বাড়ানো, সার্চ ইঞ্জিন যেন সহজে খুজে পায় সে ব্যবস্থা করা (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও), এডসেন্স বাছাই করা, নির্দিষ্ট এডসেন্স ব্লক করা, এডসেন্স ছাড়াও আয়ের অন্যান্য পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়ে নিয়ে আগামীতে আলোচনা করব  ইনশাআল্লাহ্‌।